শুক্রবার, ৯ এপ্রিল, ২০১০

যুবক অনার্য

যুবক অনার্য


খুব মেঘ ক’রে আসে


সলতেডাঙার ধারে মুহূর্তের অলিখিত শোক

বিবর্তিত ঘাসের নগ্ন পরতে ফড়িঙের ব্যথিত উৎসব

পাখিদের বারোয়ারি সঙ্গম পিছপা হয়ে আসে

আর অই রোদের রাখাল যে কখনো ভুলে যায় না

তার প্রিয় কোনো নাম, সেও বিষণœ যেন কবি


পথচারী জোনাকির সাথে জোছনার

অথবা নির্দলীয় নক্ষত্রের

বিধিবদ্ধ প্রেমের মধ্যে নেমে আসে

ধূর্ত ইয়াগো-সন্দেহ ওথেলো-রুমাল


তুমি চলে গ্যালে কবিতায় খুব মেঘ ক’রে আসে

তারপর দীঘির প্রথম জলের আশ্চর্য মহাপ্রয়াণ


তুমি চলে গ্যাছো, তাই ছত্রভঙ্গ বারোমাস


অসমাপ্ত অটোবায়োগ্রাফি


প্রজন্ম পেরিয়ে যাওয়া অভিধান

এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক প্রস্তুতি নিয়ে

নক্ষত্রেরও মৃত্যুু হয়


কোনো কোনো মাঝরাতে বৃষ্টি হলে

নিঃসঙ্গতার প্রতিদ্বন্দ্বী সেজে সে-ও মলাটসর্বস্ব দেয়ালের মত কাঁপে


দেখি নক্ষত্রের মতন তারো চোখে

প্রজন্ম-ডিঙানো ব্যস্ত অভিধান

মৃত্যুর জলছাপ অসমাপ্ত অটোবায়োগ্রাফি


আর্ট এক্সিবিশন


উনুনে শূন্য হাঁড়ি, রান্না হচ্ছে হাওয়া বাতাসের

যেন তৈলচিত্রের চমৎকার প্রদর্শনী


কোথায় তাহারাÑ জয়নুল, লিওনার্দো

এমন দুর্দিনে বিষাদের ঐশ্বর্য

ছলকে ওঠে পাঁজরের বাঁকা হাড়ে

দৃশ্যসংকটে তীর ধ’রে ভেসে যায়

বালিয়াড়ি ঘাস চাঁদের ফসিল


বুঝি নাÑ এখনো সন্ধ্যার সুতো ধ’রে

সকাল কেনো আসে

1 টি মন্তব্য: