শুক্রবার, ৯ এপ্রিল, ২০১০

ফারহান ইশরাক

ফারহান ইশরাক

লবণ ও ললিপপ


সল্ট ইজ কামিং ফ্রম দ্য ব্লু সী-- প্রসেসিং প্রায় শেষ

হুঁশিয়ার ভাতমাছি পান্তার প্লেট ছেড়ে এক্ষুণি

পালাও বলছি!




সম্ভোগের রেস্তেঁরা খোলা

তৃপ্তির ঢেঁকুরগুলো উড়ে যাচ্ছে আলতো আরামে

ডোন্ট লুজ হার্ট

প্রতীক্ষার পাকস্থলি, জাস্ট অ্যান আওয়ার লেস


লবণ সংকট

এমন কিছু নয়


লাবণ্যের ন্যায্য লোভ সহজে কি সামলানো যায়!

জিহ্বায় উষ্ণ জল, মাংসের ললিপপ অবেলায় তবু কি সম্ভব!


দুধের স্মৃতিপাত্র চেটে মোটামুটি তৃপ্ত বেড়াল।


পান্তা ফুরাতে বসলো : তুমি কি তাহলে আজ আর আসছো না খাদ্যনুন?

প্লিজ গেট কুইকার লবণ ও ললিপপ, আর পারছি না।


ফল


ফল পাকতেছে; গাছের উৎকণ্ঠা দেখে ফিরে আসি

রৌদ্রের উস্কানি পেয়ে অযথাই চোখ উল্টায় কলোনির লতা


ফাঁসির দড়ি ছিলো হাতে, ল্যাম্পোস্টেরে নিরাপদ ভাবি নাই

তারের টক্কর লেগে যদি জান চলে যায়; ভেঙে পড়ে সুইসাইডের ছক!


কলোনির গাছ অতোশত বুঝে নাই Ñ দুশো বছরের গাছ

সিঁদুরে মেঘের ঘর-পোড়া ইতিহাস

ফল পাকতেছে; আমি আছি মরার ধান্দায়।


ফলের দেমাগ ভালো, তাই বলে এতটা স্পর্ধা!

করাতকলের দোহাই বৃক্ষ, এক্ষুনি রাজী হযে যাও।



সংস্কার


পেট জ্বলছে; খাইছি কিনা মনে নাই, তাই কনফিউজড্

কিছু মুখে তোলা ঠিক হবে কি না

গাছতলায় বসে আছি ফল পাকতেছে

দাঁড়কাক ভাইয়া একটু পরে আসো

কা-কা বন্ধ করাটা বেটার

সিদ্ধান্তে জট লাগতেছে


ধুত্তোরি মাছি ফাজলামোর সময় পাও নাই

মগজেতেভনভন কইরো নাতো

সিরিয়াস মুডে আছি।


খিচুড়ির গন্ধটা ভালো; মনে হয় দারুন পাক অইছে

এ-মুহূর্তে যাওয়া কি ঠিক হবে


পেট জ্বলছে; খাইছি কিনা মনে পড়ছে না

মোরালিটি নিয়ে কথা, থাক এ মুহূর্তে নাইবা খাইলাম।


চিবুকে রৌদ্রপিপাসা


ছুরির ফলায় ঘাম; গলে পড়ে লাল অন্ধকারÑ পাথরের কোষে কোলাহল

মতিভ্রম না হলে বলো না : জেনি মরে গেছেÑ পোষা বেড়ালের ছানা

লোমের জ্যাকেট খুলে নিয়ে গেছে নশ্বরতা, বলো না তা। ধূলিবরফের

গর্ভস্থলি ফুলিয়েছে খুলে পড়া হাড়ের ফিসফিস, আহগো ফসফরাস!


বুদ্ধিবিপন্নতা না এলে বলো নাÑ স্নেহনিবিড়তাÑ

নীরবে কফিনে যাবে পোষকের স্পর্শতুলা তাচ্ছিল্যে উড়িয়ে

নির্দোষ দুধের বাটি যদি তরল দর্পণে ছবি ধরে রাখে

কোমলতা হটিয়ে কে মানবে বেড়ালের এমন প্রস্থান!


পেলবতা তবু আছে : আছে শিশু, আছে নারীÑ চোয়ালে-চিবুকে রৌদ্রপিপাসা

ক্রিস্টাল আলোর কণা এখনো কি টিকে নেই? অমরতা, দুর্বোধ্য ছোঁয়াচ?

ক্যাটওয়াক থেমে গেছে, তবু শিকারী চোখের দ্যুতি রেখে যায় অর্থবোধকত

কালের টঙ্কারে সে সুষমা মিথ্যে হবেÑ সুনির্দেশ্য কে বলতে পারে।


উচ্ছিষ্ট মাছকাঁটা পিঁপড়ের মুখেÑ চারু দংশনÑ অনতিকঠোর

কিছুই মরে না; বেড়ালটা স্মৃতিহয়ে আসেÑ ঘা বসায়, আঁচড় কাটে মনে

বাঁশিতে ফুঁ দেয় কে? সংবেদনা ফেটে যায় : রক্তরসে মিউমিউ শব্দ ডুবে যায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন