ইকবাল আজিজ
মৃত্যুঞ্জয় মানুষের কথা
যার মৃত্যু নেই শুধু জন্ম আছে, দূর গ্রহ-নক্ষত্রের দিকে ধাবমান;
যার মৃত্যু নেই, শুধু পুনর্জন্ম আর রূপান্তর--
শিশিরের জলে ভেজা ফসলের মাঠে আকাশের শূন্যঘর জন্মজন্মান্তর;
নদী বহমান পদ্মা ও মেঘনা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র, তিতাস ও কর্ণফুলি--
সীমান্তের সব বাঁধ ভেঙে যাবে, জল জানি বহমান ভাটিয়ালি গান।
পুনরায় বঙ্গদেশে পাখিঝড় পাখিজন্ম, কীটনাশক বিলুপ্ত চিরতরে--
এখন কেবল মৃত্যুঞ্জয় মানুষ ও পাখিদের দিন;
বাঙালির ঘরে ঘরে মানুষ মৃত্যুঞ্জয়
আকাশে বাতাসে ঝোড়ো গান ক্লান্তিহীন স্বপ্নময়।
চৈত্র থেকে জ্যৈষ্ঠ গেছে তার ভীষণ নিষ্ফলা;
মাটি ফেটে চৌচির অন্তর, জীবন দীর্ঘশ্বাস জলজ বাতাস
জেনে গেছে তবু সে কখনো তার মৃত্যু নেই এ জগতে--
কজনইবা জানতে পারে এই অতি গোপন রহস্যকথা!
জ্ঞানীদের বস্তুবাদী জগতে শুধুই বস্তুবাদী বিতর্ক ও কান্না
তাই ছুটে চলা একা মৃত্যুঞ্জয় রাশি রাশি অগ্নিকণা অভিজ্ঞতা।
দাবদাহ শেষ হলে আকাশের অন্ধকার ফুঁড়ে বৃষ্টি নামে--
এশিয়ার নিঝুম ব-দ্বীপে নোনাবনে নোনাজল;
উত্তরের মঙ্গা শুরু হবে কবে? দক্ষিণে আশ্চর্য অনাসৃষ্টি।
গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে তার অভিযাত্রা--
মৃত্যুঞ্জয় মানুষের চোখেমুখে অদ্ভুত বার্তা;
আলো হয়ে আলো থেকে জন্মজন্মান্তর
আনন্দের পুত্র সে যে চিরকাল তার আনন্দের ঘর।
২.
রেলপথ ধরে ময়মনসিংহ স্টেশন থেকে
গৌরীপুর জংশন, কতো পুরাতন কথা
বেজে ওঠে সেতার ওস্তাদ বেলায়েত কান;
জমিদারবাড়ির পাশেই কদমের গাছ মনে আছে?
বরষায় কদমের গন্ধে মাতাল জীবনের মানচিত্র;
আষাঢ় শ্রাবণ মাস বরষার জল ছুঁয়ে স্মৃতির গভীরে--
মনে পড়ে কে আসে সকাল ও সন্ধ্যায় অতি ধীরে স্বপ্ন চিরে।
মৃত্যু নেই, শুধু পুনর্জন্ম আর রূপান্তর, জন্মজন্মান্তর;
মৃত্যুঞ্জয় জীবন ছুটছে পুবে ও পশ্চিমে, উত্তরে দক্ষিণে--
৫৫ হাজার বর্গমাইল জুড়ে কি শুধুই দীঘশ্বাস? শুধু দুঃস্বপ্ন?
জানি শুধু অন্ধকার নয় এ জীবন, আছে আলো;
আছে জীবনের উল্লসিত ঝংকার, চৈতন্যে কে ডাকে বারবার।
জনতার কষ্ট, শোষণের যন্ত্রণার নীল কষ্ট, আমলার হাসি
আর দুর্নীতির ভারে মেঘাচ্ছন্ন এই দেশে মৃত্যুঞ্জয় মানুষেরা
ফুটে থাকে রাতের আকাশে ভীষণ উজ্জ্বল তারা হয়ে;
অবিশ্বাস আর হতাশার দিনগুলো আশার আলোয় ফুটে থাকে--
মৃত্যুঞ্জয় মানুষেরা হাসে, একদিন গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে যাবে তারা;
সব মৃত্যু চিরঞ্জীব গান হয়ে যাবে, সব গান ঝরঝর জল ফুলমালা--
অবিরত মৃত্যুঞ্জয় মানুষের কোলাহলে খুলে যাবে একদিন বদ্ধ তালা
মৃত্যুঞ্জয় মানুষের হাসি গান স্বপ্ন অবিরত
ফুটে রবে পৃথিবীতে গোলাপ ও সূর্যমুখী ফুল হয়ে লক্ষ কোটি শত শত।
মৃত্যুঞ্জয় মানুষের কথা
যার মৃত্যু নেই শুধু জন্ম আছে, দূর গ্রহ-নক্ষত্রের দিকে ধাবমান;
যার মৃত্যু নেই, শুধু পুনর্জন্ম আর রূপান্তর--
শিশিরের জলে ভেজা ফসলের মাঠে আকাশের শূন্যঘর জন্মজন্মান্তর;
নদী বহমান পদ্মা ও মেঘনা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র, তিতাস ও কর্ণফুলি--
সীমান্তের সব বাঁধ ভেঙে যাবে, জল জানি বহমান ভাটিয়ালি গান।
পুনরায় বঙ্গদেশে পাখিঝড় পাখিজন্ম, কীটনাশক বিলুপ্ত চিরতরে--
এখন কেবল মৃত্যুঞ্জয় মানুষ ও পাখিদের দিন;
বাঙালির ঘরে ঘরে মানুষ মৃত্যুঞ্জয়
আকাশে বাতাসে ঝোড়ো গান ক্লান্তিহীন স্বপ্নময়।
চৈত্র থেকে জ্যৈষ্ঠ গেছে তার ভীষণ নিষ্ফলা;
মাটি ফেটে চৌচির অন্তর, জীবন দীর্ঘশ্বাস জলজ বাতাস
জেনে গেছে তবু সে কখনো তার মৃত্যু নেই এ জগতে--
কজনইবা জানতে পারে এই অতি গোপন রহস্যকথা!
জ্ঞানীদের বস্তুবাদী জগতে শুধুই বস্তুবাদী বিতর্ক ও কান্না
তাই ছুটে চলা একা মৃত্যুঞ্জয় রাশি রাশি অগ্নিকণা অভিজ্ঞতা।
দাবদাহ শেষ হলে আকাশের অন্ধকার ফুঁড়ে বৃষ্টি নামে--
এশিয়ার নিঝুম ব-দ্বীপে নোনাবনে নোনাজল;
উত্তরের মঙ্গা শুরু হবে কবে? দক্ষিণে আশ্চর্য অনাসৃষ্টি।
গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে তার অভিযাত্রা--
মৃত্যুঞ্জয় মানুষের চোখেমুখে অদ্ভুত বার্তা;
আলো হয়ে আলো থেকে জন্মজন্মান্তর
আনন্দের পুত্র সে যে চিরকাল তার আনন্দের ঘর।
২.
রেলপথ ধরে ময়মনসিংহ স্টেশন থেকে
গৌরীপুর জংশন, কতো পুরাতন কথা
বেজে ওঠে সেতার ওস্তাদ বেলায়েত কান;
জমিদারবাড়ির পাশেই কদমের গাছ মনে আছে?
বরষায় কদমের গন্ধে মাতাল জীবনের মানচিত্র;
আষাঢ় শ্রাবণ মাস বরষার জল ছুঁয়ে স্মৃতির গভীরে--
মনে পড়ে কে আসে সকাল ও সন্ধ্যায় অতি ধীরে স্বপ্ন চিরে।
মৃত্যু নেই, শুধু পুনর্জন্ম আর রূপান্তর, জন্মজন্মান্তর;
মৃত্যুঞ্জয় জীবন ছুটছে পুবে ও পশ্চিমে, উত্তরে দক্ষিণে--
৫৫ হাজার বর্গমাইল জুড়ে কি শুধুই দীঘশ্বাস? শুধু দুঃস্বপ্ন?
জানি শুধু অন্ধকার নয় এ জীবন, আছে আলো;
আছে জীবনের উল্লসিত ঝংকার, চৈতন্যে কে ডাকে বারবার।
জনতার কষ্ট, শোষণের যন্ত্রণার নীল কষ্ট, আমলার হাসি
আর দুর্নীতির ভারে মেঘাচ্ছন্ন এই দেশে মৃত্যুঞ্জয় মানুষেরা
ফুটে থাকে রাতের আকাশে ভীষণ উজ্জ্বল তারা হয়ে;
অবিশ্বাস আর হতাশার দিনগুলো আশার আলোয় ফুটে থাকে--
মৃত্যুঞ্জয় মানুষেরা হাসে, একদিন গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে যাবে তারা;
সব মৃত্যু চিরঞ্জীব গান হয়ে যাবে, সব গান ঝরঝর জল ফুলমালা--
অবিরত মৃত্যুঞ্জয় মানুষের কোলাহলে খুলে যাবে একদিন বদ্ধ তালা
মৃত্যুঞ্জয় মানুষের হাসি গান স্বপ্ন অবিরত
ফুটে রবে পৃথিবীতে গোলাপ ও সূর্যমুখী ফুল হয়ে লক্ষ কোটি শত শত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন