মোস্তাক আহমাদ দীন
যুবক
গাছে হাত রেখেছে আবার। তার চুল
উড়ছে, যেমন বাঘিনীকেশর, যেন
মন-উড়ানিয়া স্থির ও ধ্যানী ভাবের বিপরীতে
ফুঁসছে যুবক।
তবু জেনো, সর্প বলা যাবে না তাহাকে।
যে-রূপে সময় দোষী, এ যে তার অন্য এক রূপ
সজারুর কাঁটা নিয়ে খাড়া
বরং এ-কথা বলা যায়,
সমতাপে-পোড়া এক কঠিন শরীর
যার মনে মরু উজানের
খরতর বালি উড়ে যায়
যাওয়া
এমন হাওয়ার পথে
চলে যেতে চেয়ে বুঝি
আমার ডানায় মৃত শালিখের সাজ
এমন স্বপ্নের কথা
কাউকে কি খুলে বলা যায়?
জাগরণে বিলকুল দেখি,
এখনো আমার কোর্তায় ফাঁকা দাঁত পেত্নীর ছায়া
হুরি ও পরির কাছে
যেতে চেয়ে আমি
মৃত তারাদের কুলে মিশে যাই
দীর্ঘনিদ্রায় শংকিত মাকে মনে রেখে
খোকা ঘুমিয়ে পড়ে
জোছনায়,
জানালার পাশে;
রাতপরীদের-নাচে রঙিন
তার চোখের পাতা
অগ্নিমুখো ফড়িঙের মতো কাঁপে
ফের জোছনায়
রাত্রিকে চেপে,
শুইয়ে রেখে
জানালার পাশে
পৃথিবীর প্রতি জেগে উঠবে ঘুমন্ত খোকাটি?
লালী
পরীলাল নক্ষত্র দেখে
‘লালী’ ‘লালী’ বলে জেগে উঠি আমি
দেখি, মুছে গেছে মম করতল-রেখা
দু-হাত দেখিতে কেন আসিয়াছে এমন কোবরেজ?
দিবস-রজনী গেছে, বরছ-মাহিনা, তাও মুছে গেছে দেখি
‘লালী’ ‘লালী’ বলে ফের জেগে উঠি আমি
দেখি, নীল দরিয়াতে নামিতেছে লীলাবতী,
লীলা
বৃষ্টি
বৃষ্টি ঝরছে
স্তনপাতায়
ঝড়গানে মর্মরিত হয়ে
গাছে গাছে মৃদু সন্তরণ
বৃষ্টি কি ঝরবে বলো
মর্মমূলে, ফলাধারে
গানে?
অজানা
কী যে তন্ত্র খেলে যায়,
তাপ এসে ছুঁয়ে যায় কী যে
বিদ্যুতে-বিদ্যুতে কী যে জ্বলে, আর,
কী যে নেভে আহা
হয়ত-বা বিপরীত জলের চুম্বন
তার শরীর
ফাৎনার মতো খুলে ছেড়ে দিয়ে
বহুভাবনার সম্ভাবনা রেখে
চলে-যাওয়া!
ভ্রম
যে-পাখিটি স্ফূর্ত আর চ্ছল চ্ছল, মা গো,
সে ও দেখি ধুতুরামগন!
রাতের পুবেই সে তো ঝরে গেল গোধূলির লাল নদীটিতে
এখন, অন্ধকারে শোনা যায় শরীর গুঞ্জন
সংগীত
এই অহেতু মুদ্রাই ধ্বংস করছে তোমাকে আবার
তার মানে, আগে বহুবারই, বেয়ে উঠে গেছ তীরে
তোমার জলো মাথা কথা-বলবার জন্যে জেগে উঠতে চেয়েছ আবারও
এখন সকলই চুপচাপ-- ব্যথার বাজনা দু-চার পশলা বাজিলেও চুপচাপ,
রাতের সংগীত
যুবক
গাছে হাত রেখেছে আবার। তার চুল
উড়ছে, যেমন বাঘিনীকেশর, যেন
মন-উড়ানিয়া স্থির ও ধ্যানী ভাবের বিপরীতে
ফুঁসছে যুবক।
তবু জেনো, সর্প বলা যাবে না তাহাকে।
যে-রূপে সময় দোষী, এ যে তার অন্য এক রূপ
সজারুর কাঁটা নিয়ে খাড়া
বরং এ-কথা বলা যায়,
সমতাপে-পোড়া এক কঠিন শরীর
যার মনে মরু উজানের
খরতর বালি উড়ে যায়
যাওয়া
এমন হাওয়ার পথে
চলে যেতে চেয়ে বুঝি
আমার ডানায় মৃত শালিখের সাজ
এমন স্বপ্নের কথা
কাউকে কি খুলে বলা যায়?
জাগরণে বিলকুল দেখি,
এখনো আমার কোর্তায় ফাঁকা দাঁত পেত্নীর ছায়া
হুরি ও পরির কাছে
যেতে চেয়ে আমি
মৃত তারাদের কুলে মিশে যাই
দীর্ঘনিদ্রায় শংকিত মাকে মনে রেখে
খোকা ঘুমিয়ে পড়ে
জোছনায়,
জানালার পাশে;
রাতপরীদের-নাচে রঙিন
তার চোখের পাতা
অগ্নিমুখো ফড়িঙের মতো কাঁপে
ফের জোছনায়
রাত্রিকে চেপে,
শুইয়ে রেখে
জানালার পাশে
পৃথিবীর প্রতি জেগে উঠবে ঘুমন্ত খোকাটি?
লালী
পরীলাল নক্ষত্র দেখে
‘লালী’ ‘লালী’ বলে জেগে উঠি আমি
দেখি, মুছে গেছে মম করতল-রেখা
দু-হাত দেখিতে কেন আসিয়াছে এমন কোবরেজ?
দিবস-রজনী গেছে, বরছ-মাহিনা, তাও মুছে গেছে দেখি
‘লালী’ ‘লালী’ বলে ফের জেগে উঠি আমি
দেখি, নীল দরিয়াতে নামিতেছে লীলাবতী,
লীলা
বৃষ্টি
বৃষ্টি ঝরছে
স্তনপাতায়
ঝড়গানে মর্মরিত হয়ে
গাছে গাছে মৃদু সন্তরণ
বৃষ্টি কি ঝরবে বলো
মর্মমূলে, ফলাধারে
গানে?
অজানা
কী যে তন্ত্র খেলে যায়,
তাপ এসে ছুঁয়ে যায় কী যে
বিদ্যুতে-বিদ্যুতে কী যে জ্বলে, আর,
কী যে নেভে আহা
হয়ত-বা বিপরীত জলের চুম্বন
তার শরীর
ফাৎনার মতো খুলে ছেড়ে দিয়ে
বহুভাবনার সম্ভাবনা রেখে
চলে-যাওয়া!
ভ্রম
যে-পাখিটি স্ফূর্ত আর চ্ছল চ্ছল, মা গো,
সে ও দেখি ধুতুরামগন!
রাতের পুবেই সে তো ঝরে গেল গোধূলির লাল নদীটিতে
এখন, অন্ধকারে শোনা যায় শরীর গুঞ্জন
সংগীত
এই অহেতু মুদ্রাই ধ্বংস করছে তোমাকে আবার
তার মানে, আগে বহুবারই, বেয়ে উঠে গেছ তীরে
তোমার জলো মাথা কথা-বলবার জন্যে জেগে উঠতে চেয়েছ আবারও
এখন সকলই চুপচাপ-- ব্যথার বাজনা দু-চার পশলা বাজিলেও চুপচাপ,
রাতের সংগীত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন