শুক্রবার, ৯ এপ্রিল, ২০১০

আবদুর রাজ্জাক

আবদুর রাজ্জাক


রিংটোন


এই যে এখানে থমকে দাঁড়িয়ে আছে নদীময় বাঁক,

তার নামের নদী, বরফগলা সন্ধ্যার আলো

নৈরাশ্যের নিঝুম বিকেল, শীতের পিছনে আসা

বসন্ত সখি, আর সুগন্ধ দ্বীপের থেকে আসা

নীল কালো হাওয়া,

তুমি যদি আসো সুগন্ধ দ্বীপের দিকেই এসো,

হাওয়াবদলের নামে তোমার সাথে

দেখা হতেও তো পারে?


স্বপ্ন আছে বলেই মাটি ও মানুষ তা বিশ্বাসে আছে,

শীতমুদ্রার মৌনস্রোত আছে নদীময় গানের অন্তরে।

মানুষের সকল আকাক্সআ ছিন্ন করেই হেঁটে যায়

নদীময় বাঁক, রেখে যায় স্রোতচিহ্নের গভীর রেখা,

বেহালা বাদকের সুর প্রস্রবণের ডাক


নদী যে দিকেই যায় সে দিকেই বাঁক নেয় জল,বাঁক

নেয় ঘাসময় চোখ, আঁকাবাঁকা ঠোঁট, নারীর চোখের

মতো অজস্র বৃষ্টির ঢেউ, মোবাইল ফোনের

ছন্দগাঁথারিংটোন যত

নদী বলতেÑ থমকে থাকা নদীরই নানা প্রশ্নকথা,

ক্রমশ উজাড় করা জলকণাপাঠ


তার নামটা যে ভুলেই গেছি


বৈশাখের তীব্র দিবসে আমার রাধা

আমাকে ছেড়ে বনবাসে যায়,

তার মেঘ, ভাগে ভাগে ভাগ করে আমার

আঙুলের ডগা,

কোন্ পিপাসা নিয়ে সে, ঝড়ের বেগে ফিরে

এসে কড়া নাড়ে বারবার

যেন এক সৃষ্টিছাড়া চপলবালিকা দাহ করে তার

স্বচ্ছ প্রেম, আর আমার অঙ্গনে রেখে যায়

ঘরগেরস্থালির একমুঠো অমা,

অধীর আত্মা থেকে ধার করা ছায়া


সে আসে ভিন্ন মেঘে, গন্ধবিভাবে, ঝড়ো হাওয়ার

ক্রমাগত উচ্ছাসে, ধুলোর পুলক সন্ধানে,

প্রার্থনা করি বোশেখ আসার আগেই যেন ফিরে যায়

সে, যেন তার আনন্দ হরষে আসার দীর্ঘশ্বাস

আমাকে বিব্রত না করে


তার খরা জীবনে আমিই প্রথম এক রূপালি ইলিশÑ

চকচকে রোদ, পিপাসা সিঞ্চনের তীব্র হাওয়া,

শতাব্দী কাল ধরে দাঁড়িয়ে দেখা মেঘচারী নদ


অপেক্ষার শেষ সীমান্তে এসে দেখা আসন্ন বৈশাখ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন